কেন্দ্র অপরিশোধিত পাম তেলের ওপর কৃষি সেস ৭.৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করেছে
কেন্দ্র অপরিশোধিত পাম তেলের ওপর কৃষি সেস ৭.৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করেছে; ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে এই হার কার্যকর হয়েছে
গ্রাহকদের আরও কিছুটা রেহাই দিতে এবং বিশ্ব বাজারে মূল্যবৃদ্ধি সত্বেও দেশে ভোজ্য তেলের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভারত সরকার অশোধিত পাম তেলের ওপর কৃষি সেস ৭.৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করেছে। এই হার গত ১২ ফেব্রুয়ারি থেকেই কার্যকর হয়েছে। কৃষি সেস কমানোর ফলে অশোধিত পাম তেল এবং শোধিত পাম তেলের মধ্যে আমদানির নিরিখে কর ফারাক বেড়ে ৮.২৫ শতাংশ হয়েছে। কর ফারাকে এই বৃদ্ধির ফলে দেশীয় সংস্থাগুলি শোধনের জন্য অশোধিত পাম তেল আমদানি ক্ষেত্রে সুবিধা পাবে।
এর আগে, ভোজ্য তেলের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেয়। সেই অনুসারে অশোধিত পাম তেল, অশোধিত সোয়াবিন তেল এবং অশোধিত সূর্যমুখী তেলের আমদানি শুল্কের বর্তমান হার ২০২২-এর ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়। শোধিত পাম তেলের ক্ষেত্রে আমদানি শুল্ক ১২.৫ শতাংশ, শোধিত সোয়াবিন এবং সূর্যমুখী তেলের ক্ষেত্রে এই হার ১৭.৫ শতাংশ স্থির করা হয়। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই শুল্ক হার প্রযোজ্য থাকবে। সরকারের এই পদক্ষেপের ফলে দেশে ভোজ্য তেলের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকবে। অবশ্য, কাঁচামালের যোগানে অভাব এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক ঘটনাবলীর দরুণ বিশ্ব বাজারে ভোজ্য তেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
১৯৫৫ সালের অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সামগ্রী আইনের আওতায় সরকার গত তেসরা ফেব্রুয়ারি ভোজ্য তেল ও তৈলবীজের মজুতের পরিমাণ সম্পর্কে এক নির্দেশ জারি করে। এই নির্দেশে চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত ভোজ্য তেল ও তৈলবীজ মজুত রাখার সীমা বেঁধে দেওয়া হয়। একই ভাবে অবৈধ মজুত, কালোবাজারী ও অসাধু পন্থা অবলম্বনের বিরুদ্ধেও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বলা হয়। সরকারের এই পদক্ষেপের ফলে দেশে তেল শিল্প ক্ষেত্র বাজারে ভোজ্য তেলের যোগান বাড়াতে আরও সুবিধা পাবে। পক্ষান্তরে গ্রাহকরাও লাভবান হবেন। সরকারের এই নির্দেশ কঠোরভাবে কার্যকর করার জন্য রাজ্য সরকারগুলিকে অনুরোধ করা হয়েছে।