কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলি ১৯৪৮ সালের ন্যূনতম বেতন আইন কার্যকর করে। কেন্দ্রীয় সরকারের আওতাভুক্ত ক্ষেত্রে সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিলেশনস মেশিনারি বা মুখ্য লেবার কমিশনার (কেন্দ্রীয়)-এর মাধ্যমে এই আইন কার্যকর হয়ে থাকে। রাজ্যের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের ব্যবস্থাপনায় আইনটি যথাযথভাবে কার্যকর হচ্ছে কি না তা দেখা হয়।
সংশ্লিষ্ট আধিকারিকরা বিভিন্ন জায়গায় পরিদর্শনের মাধ্যমে কর্মীদের যথাযথ বেতন পাওয়ার দিকটি নিশ্চিত করেন। কোথাও যদি কর্মীদের বেতন না দেওয়া হয় বা ন্যূনতম বেতনের চাইতে কম টাকা দেওয়া হয় সেক্ষেত্রে আধিকারিকরা সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে কর্মীদের বকেয়া বেতন মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। কোথাও যদি এই নির্দেশ না মানা হয় তাহলে ১৯৪৮ সালের ন্যূনতম বেতন আইন অনুসারে ওই সংস্থার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
পিএম কিষাণ প্রকল্পের সুবিধা জমি ব্যবহারকারী পেয়ে থাকেন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে জমিতে চাষ করা কৃষক পরিবার প্রতি চার মাস অন্তর ২ হাজার টাকা করে (বছরে মোট ৬ হাজার টাকা) পেয়ে থাকেন।
মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ কর্ম নিশ্চয়তা প্রকল্পে দেশের গ্রামাঞ্চলে জীবিকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। প্রত্যেক অর্থবর্ষে প্রত্যেক পরিবার যাতে ন্যূনতম ১০০ দিন কাজ পান সেটি নিশ্চিত করা হয়। ওই পরিবারের প্রাপ্ত বয়স্ক সদস্যরা স্বেচ্ছায় অদক্ষ শ্রমিকের কাজ করে থাকেন। এই প্রকল্পে লিঙ্গ বৈষম্যের কোনো স্থান নেই। প্রকল্পটিতে মহিলাদের অংশগ্রহণ বাড়াতে তাদের জন্য সুবিধাজনক কাজের সময় স্থির করা হয় এবং মহিলাদের পারিশ্রমিক দেওয়ার হার পৃথক।
২০০৫ সালের জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান নিশ্চয়তা আইনের দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ অনুসারে কর্মরত অবস্থায় কোনো কর্মী দুর্ঘটনার ফলে আহত হলে অথবা দুর্ঘটনায় মৃত্যু বা স্থায়ী প্রতিবন্ধকতা দেখা দিলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে এককালীন অর্থ সাহায্য দেওয়া হবে। এছাড়াও কাজের জায়গায় সকলে যাতে বিশুদ্ধ পানীয় জল পান, তাদের শিশু সন্তান যাতে নিরাপদে থাকতে পারে, কেউ আহত হলে তিনি যাতে প্রাথমিক চিকিৎসা পান, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
লোকসভায় আজ এক প্রশ্নের লিখিত জবাবে এই তথ্য জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শ্রী রামেশ্বর তেলী।