বিগত কয়েক বছরে ঘূর্ণিঝড় এবং ভারী ও অতিভারী বর্ষণের পরিমাণ বেড়েছে। এছাড়াও, ১৮৯১ থেকে ২০২০ পর্যন্ত সময়কালে উত্তর ভারত মহাসাগরে
(বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগর) ঘূর্ণিঝড়ের অতীতে তথ্য বিশ্লেষণ করে এটাই ইঙ্গিত করে যে, আরব সাগরের সাম্প্রতিক কয়েক বছরে অত্যন্ত তীব্র ঘূর্ণিঝড়ের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে তীব্র ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে অভিনীত উপকূলীয় দুর্বলতা বঙ্গোপসাগর অঞ্চলে আরও বেশি অব্যাহত রয়েছে। অতি তীব্র ঘূর্ণিঝড়ের ফ্রিকোয়েন্সির কোন উল্লেখযোগ্য প্রবণতা নেই। অন্যদিকে, আরব সাগরের উপর কম্পাঙ্কের বৃদ্ধি পশ্চিম উপকূল বরাবর উপকূলীয় দুর্বলতাকে বৃদ্ধি করে নি। আরব সাগরের ওপর তৈরি হওয়া এই ধরনের ঘূর্ণিঝড় গুলির বেশিরভাগই ওমান ইয়েমেন উপকূলে আছড়ে পড়েছে। তাই গুজরাট ও মহারাষ্ট্র উপকূলের জন্য একই রকমের সতর্ক বার্তা রয়ে গেছে। বঙ্গোপসাগর এবং আরব সাগর নিয়ে গঠিত উত্তর ভারত মহাসাগরের ওপর সৃষ্টি হওয়া পাঁচটি ঘূর্ণিঝড়ের মধ্যে তিন থেকে চারটি ভূমিতে আছড়ে পড়ে জীবন ও সম্পত্তির ক্ষতি করেছে। পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, অন্ধপ্রদেশ এবং তামিলনাড়ু ও পুদুচেরির নিচু উপকূলীয় অঞ্চল গুলি এর প্রভাবে বেশি প্রভাবিত হয়েছে। ভূবিজ্ঞান মন্ত্রকের অধীনে ইন্ডিয়া মেটেওরোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্ট প্রশংসনীয় ভাবে সময়মতো ঝড়ের পূর্বাভাস দেওয়ায় মৃত্যুর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী দক্ষতার সঙ্গে কর্ম সম্পাদন করেছে।
অক্সিজেন আমাদের শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য এক পঞ্চমাংশ বায়ু তৈরি করে। সাম্প্রতিককালের কয়েকটি গবেষণায় বলা হয়েছে যে জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানো এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে অরণ্য উজার করে দেওয়ায় বায়ুমন্ডলে অক্সিজেনের পরিমাণ হ্রাস পেয়েছে।
ভূবিজ্ঞান মন্ত্রকের দায়িত্ব কেবল আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া এবং আগাম সতর্কবার্তা প্রদান করা। বায়ুমন্ডলে ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা প্রভাব কমানোর জন্য একটি অভিযোজিত ব্যবস্থা হিসেবে ইন্ডিয়া মেটেরোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্ট রাজ্যগুলির স্বাস্থ্য বিভাগের সহযোগিতায় বেশ কয়েকটি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
ইন্ডিয়ান মেটেরোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্ট ২০১৮ সালের পর থেকে ২৪ ঘন্টার জন্য তাপ তরঙ্গ বা হিট ওয়েভের ওপর একটি অতিরিক্ত বুলেটিন জারি করা শুরু করেছে। এই বুলেটিন সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষের কাছে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। ডিপার্টমেন্টের ওয়েবসাইটেও এটি থাকে।
আজ রাজ্যসভায় এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে ভূবিজ্ঞান মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী ডক্টর জীতেন্দ্র সিং এই তথ্য জানিয়েছেন।