ওডিশা উপকূলে সুখোই ৩০ এমকেআই যুদ্ধ বিমানের সাহায্যে আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ব্রহ্মোস সুপারসোনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ
পরীক্ষামূলক এই উৎক্ষেপণ সফল হওয়ার জন্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ডিআরডিও, ব্রহ্মোস, ভারতীয় বিমান বাহিনী ও ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদনে যুক্ত শিল্প সংস্থার প্রশংসা করেছেন
সুপারসোনিক সুখোই ৩০ এমকেআই যুদ্ধ বিমানের সাহায্যে আজ বেলা ১০টা ৩০ মিনিট নাগাদ ওডিশা উপকূল লাগোয়া চাঁদিপুর উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ব্রহ্মোস সুপারসোনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের সফল উৎক্ষেপণ হয়েছে। এই উৎক্ষেপণে যাবতীয় পূর্ব নির্ধারিত লক্ষ্য পূরণ হয়েছে।


ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্রের প্রযুক্তিগত উন্নয়নে এই উৎক্ষেপণ এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এর ফলে, দেশে আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্রের নিরবচ্ছিন্ন উৎপাদনে গতি আসবে। এই ক্ষেপণাস্ত্রে একাধিক নতুন প্রযুক্তির মেলবন্ধন হয়েছে, যা ভারতীয় শিল্প সংস্থাগুলি সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে উদ্ভাবন করেছে।
ক্ষেপণাস্ত্রে ব্যবহৃত রামজেট ইঞ্জিনে ভারতীয় শিল্প সংস্থাগুলির বিভিন্ন প্রযুক্তি কাজে লাগানো হয়েছে। এমনকি, জ্বালানী ট্যাঙ্কেও ধাতব ও অধাতব এয়ারফ্রেমের ব্যবহার হয়েছে। উৎক্ষেপণের সময় ক্ষেপণাস্ত্রের যাবতীয় পারদর্শিতা প্রমাণিত হয়েছে। চলতি বছরের জুলাই মাসে আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্রের আরও একটি পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ পরিচালনা করা হয়।
এই ক্ষেপণাস্ত্রের উৎক্ষেপণ সফল হওয়ার জন্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রী শ্রী রাজনাথ সিং প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (ডিআরডিও), ব্রহ্মোস, ভারতীয় বিমান বাহিনী ও ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদনে যুক্ত শিল্প সংস্থাগুলির প্রশংসা করেছেন। উৎক্ষেপণের সঙ্গে যুক্ত সংশ্লিষ্ট সকলকে অভিনন্দন জানিয়ে ডিআরডিও-র চেয়ারম্যান ডঃ জি সতীশ রেড্ডি বলেছেন, জটিল এই ক্ষেপণাস্ত্র উদ্ভাবন প্রযুক্তির সঙ্গে সরকারি, রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি সংস্থার ভূমিকা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।
উল্লেখ করা যেতে পারে, সুপারসোনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের উৎপাদন, প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও বিপণনের লক্ষ্যে ভারতের ডিআরডিও এবং রাশিয়ার এনপিওএম যৌথ সংস্থা গঠন করেছে। ইতিমধ্যেই ভারতীয় সেনাবাহিনীতে ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।